সুজিত ভট্টাচার্য্য,বুদবুদ(খবর7দিন প্লাস):- বুদবুদ থানার অন্তর্গত, আউসগ্রাম বিধানসভা তথা বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত আউসগ্রাম দু'নম্বর ব্লকের কোটা গ্রামে ভোটার তালিকায় রয়েছে একাধিক গড়মিল। এখনো ভোটার তালিকায় রয়েছে ১৫ বছর আগে মৃত ব্যক্তিদের নাম। এছাড়াও একই ব্যক্তির নাম দিয়ে পৃথক ভোটার কার্ড দিয়ে ভোটার তালিকায় রয়েছে নাম। বিজেপির পক্ষ থেকে এই বিষয়ে অভিযোগ জানানোর পরেও তা সংশোধন হয়নি বলে অভিযোগ বিজেপি নেতা কৃষ্ণদয়াল কর্মকারের। তার অভিযোগ ভোটার তালিকায় এখনো পর্যন্ত যে সমস্ত মৃত ব্যক্তিদের নাম রয়ে গিয়েছে তাদের নাম বাতিল করার জন্য তারা একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই নামের তালিকা থেকে মৃত ব্যক্তিদের নাম বাতিল হয়নি।এমনকি কোটা গ্রামে ভোটার তালিকায় বেশ কিছু ভোটারদের নাম রয়েছে। যাদের গ্রামে কোনো অস্তিত্ব নেই। এছাড়াও একই নামের ব্যক্তির পৃথক দুটি ভোটার কার্ড তালিকায় লক্ষ্য করা গেলে এই বিষয়েও তারা নির্বাচন কমিশনে নাম বাতিলের জন্য অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই অভিযোগের পর কিছু কিছু কাজ হলেও এখনো অধিকাংশ নাম তালিকায় রয়ে গিয়েছে। তার দাবি তালিকায় থাকা এই সমস্ত মৃত ব্যক্তিদের ও ভোটারের নামে কেউ না কেউ ভোট দিয়েছিল। এই অদৃশ্য শক্তিটা শাসকদলের ক্ষমতায় থাকার একটা ষড়যন্ত্র বলে দাবি তার।
তিনি বলেন তৃণমূল ভোটার তালিকা সংশোধন করা যাবে না বলে প্রচার করছে। তার কারণ হলো। ভোটার তালিকা যদি সংশোধন হয়ে যায় তবে বাংলায় আর তৃণমূল ক্ষমতায় থাকবে না। প্রতিটা বুথে গড়ে ১৫ থেকে ২০টি করে ভুয়ো ভোটার রয়েছে। গোটাটাই শাসকদলের চক্রান্ত বলে অভিযোগ। এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিবাদ। এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে তারা অভিযোগ জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সেই সিদ্ধান্ত তারা মেনে নেবেন বলে জানিয়েছেন।
কোটা গ্রামের বাসিন্দা বাপি ভট্টাচার্যর বাড়িতে গিয়ে তার দেখা না পেলেও তার মা ছায়া ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ছেলের ভোটার কার্ডের জন্য তারা দুবার আবেদন জানিয়েছিলেন। প্রথমবার তার বাবার নাম দিয়ে আবেদন জানানো হয়েছিল পরে তার নাম অভিভাবক হিসাবে দিয়ে আবেদন জানানোর পর তাদের বাড়িতে দুটি ভোটার কার্ড একসাথে আসে। যার মধ্যে একটি ভোটার কার্ড তারা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের জমা দেন। গত নির্বাচনে বাপি তার কাছে থাকা ভোটার কার্ড নিয়েই ভোট দিয়েছিলেন। এখনো ভোটার তালিকা থেকে তার ছেলের একটি নাম কেন কাটা হয়নি সেই বিষয়ে তারা কিছু জানেন না।
পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সদস্য তথা তৃণমূল নেতা রামকৃষ্ণ ঘোষ জানিয়েছেন, শুধু কোটা গ্রাম নয় রাজ্যজুড়ে যে সমস্ত ভুয়ো ভোটার রয়েছে, সেগুলি খতিয়ে দেখে তার তালিকা তৈরি করে নাম বাতিল করার জন্য তারাও আবেদন জানিয়েছেন। যে বিজেপি নেতা শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে। সেই বিজেপি নেতা কিছুই জানেন না। সবার আগে তার জানা উচিত নির্বাচন কমিশন রাজ্য সরকারের নয় সেটি কেন্দ্রের।তিনি বলেন সরকারি নিয়ম অনুযায়ী যে নির্ধারিত সময় থাকে অভিযোগ জানানোর সেই নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলে আর কিছুই করার থাকে না। পরে আবার অভিযোগ জানানোর সময় হলে ফের অভিযোগ জানাতে হয়। এছাড়াও যে ব্যক্তির নামে দুটি ভোটার কার্ড তৈরি হয়েছে তাতে ওই ব্যক্তির কোনো দোষ নেই। এটা সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকা আধিকারিকদের গাফিলতি। এই ঘটনায় শাসকদলের নামে অযথা বদনাম রটানোর চেষ্টা চালাচ্ছে ওই বিজেপি নেতা।