সুজন চক্রবর্তী,ভারতপ্রতিনিধিঃ(খবর7দিন প্লাস):- স্ত্রী ও মেয়েকে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা স্বামীর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলির উত্তরপাড়ায়। মৃত অবস্থায় ঘর থেকে উদ্ধার হন বধূ ও তাঁর মেয়ে। রক্তাক্ত অবস্থায় গৃহকর্তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চিকিৎসা চলছে তার। কিন্তু কেন খুনের ঘটনা ? কেনই বা নিজেকে শেষ করে ফেলতে চেয়েছিলেন ওই যুবক ? তা নিয়ে ধোঁয়াশা। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জানা যায়, অভিযুক্তের নাম কাশীনাথ চট্টৌপাধ্যায়। উত্তরপাড়ার হিন্দমোটর ভদ্রকালী এলাকার বাসিন্দা তিনি। কাজ করেন একটি কারখানায়। স্ত্রী পায়েল, ২ মেয়ে ও মাকে নিয়ে থাকতেন তিনি। জানা যায়, বুধবার (১১ জুন) ভোরে আচমকা ফলকাটার ছুরি নিয়ে ছোট মেয়ে অদ্রিতা ও স্ত্রী পায়েলের উপর চড়াও হন কাশীনাথ। এলোপাথাড়ি তাদের কোপাতে থাকে। এরপর আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই যুবক। পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি টের পাওয়া মাত্রই ছুটে যান। তখনই দেখা যায়, রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরে পড়ে রয়েছে পায়েল ও অদ্রিতার নিথর দেহ। তবে তখনও প্রাণ ছিল কাশীনাথের। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৩ জনকেই উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। চিকিৎসকরা পায়েল ও অদ্রিতাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে কাশীনাথের। এই হামলা নিয়ে পরিবারের দাবি, তাঁদের মধ্যে কোনও রকম সমস্যা ছিল না। তা সত্ত্বেও কেন আক্রমণ, তা বুঝে উঠতে পারছেন না কেউই। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কাশীনাথকে জেরা করলেই রহস্য ভেদ হবে বলে আশাবাদী পুলিশ।