কাজল মিত্র,আসানসোল(খবর7দিন প্লাস):- হিন্দুস্তান কেবলসের জমি নিয়ে তৎপরতা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের ভারী শিল্প মন্ত্রক এখানকার জমিতে নতুন কিছু উদ্যোগ গড়ে তোলার ব্যাপারে যথেষ্ট সক্রিয়তা দেখাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছেন। তার ফলেই একাধিক পরিদর্শনকারী দল ঘনঘন কেবলসে আসছে। সপ্তাহখানেক আগে সিআইএসএফের ডেপুটি কমান্ড্যান্ট অশোক ঝা হিন্দুস্তান কেবলস পরিদর্শন করার পর আজ সিআইএসএফ বার্ণপুরের ডিআইজি প্রবোধ চন্দ্রা স্বয়ং পরিদর্শনে এলেন। তার সঙ্গে অধস্তন দুই আধিকারিক ও নিরাপত্তা রক্ষীরা ছিলেন। জানা গেছে আজ এলাকা পরিদর্শন না করে ডিআইজি শ্রী চন্দ্রা ঘন্টাখানেক ধরে বৈঠক করেন হিন্দুস্তান কেবলসের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক আর এন ওঝার সঙ্গে। বৈঠকে মূলত কেবলসের কোন এলাকায় কত জমি, কোথায় কত কোয়ার্টার্স, অন্যান্য বিল্ডিং, মাঠ ইত্যাদি আছে সেগুলির তথ্য বিশদে জানতে চান ডিআইজি।খোঁজ নেন অনুমতিহীন দখলদারির বিষয় নিয়েও। বিকেল চারটে থেকে প্রায় পাঁচটা পর্যন্ত হিন্দুস্তান কেবলসের প্রশাসনিক ভবনে সিআইএসএফের এই দলটি ছিল। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ডিআইজি কোন কথা বলতে চান নি। তবে তাদের ঘনঘন পরিদর্শন এবং আগ্রহ দেখে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছেন যে, কেবলসের জায়গা তাদের পছন্দ হয়েছে এবং কিছুটা সময় লাগলেও নিশ্চিতভাবে তারা এখানে তাদের ব্যাটেলিয়ান রাখার উপযোগী পরিকাঠামো গড়ে তুলবেন।কেবলসের জমি যথেষ্ট মূল্য দিয়েই যে কোনো সংস্থাকে সরকারের কাছ থেকে কিনে নিতে হবে বলে জানা গেছে। সেক্ষেত্রে প্রায় ৯৪৭ একর জমি কোন একটি সংস্থার পক্ষে কিনে নেওয়া যথেষ্ট ব্যয় সাপেক্ষ। সেজন্য প্রয়োজন অনুযায়ী একাধিক সংস্থা এখানে জমি নিয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গড়ে তুলতে পারেন বলে বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে। সম্ভাবনা জেগেছে আধা সামরিক বাহিনী সিআরপিএফ এবং শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী সিআইএসএফ ছাড়া অন্য কোন সংস্থাও এখানকার জমিতে তাদের উপযোগী পরিকাঠামো গড়ে তুলবে। থাকতে পারে মহিলা ব্যাটালিয়নের জন্য পৃথক পরিকাঠামোর বিধি বন্দোবস্ত।
আজকের পরিদর্শন প্রসঙ্গে হিন্দুস্তান কেবলসের আধিকারিক আর এন ওঝা বলেন, সিআইএসএফ কর্তৃপক্ষ এখানকার জমি, বিল্ডিং সহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে যেসব তথ্য জানতে চেয়েছিলেন তা যথাসম্ভব তিনি তাদের জানিয়েছেন। সিআইএসএফ এখানে কি করবে বা কবে তা হবে সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
এদিন সিআইএসএফ পরিদর্শনের সময় হিন্দুস্তান কেবলস পুনর্বাসন সমিতির পক্ষ থেকে সুভাষ মহাজন দাবি করেন এখানে শিল্প হোক কিন্তু তাতে যেন স্থানীয় মানুষের স্থায়ী চাকরি হয় এবং বন্ধ হয়ে যাওয়া কেবলস কর্মীদের বকেয়া পাওনা মিটিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও এখানকার আবাসনগুলি পুরনো কর্মীদের পরিবার ও আগ্রহীদের লিজে দেওয়ার দাবিও জানান তিনি।