বাড়ির মধ্যেই বজ্রপাতে মৃত্যু সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীর,আহত বাবা


মহম্মদ শাহজাহান আনসারী,বাঁকুড়া (খবর7দিন প্লাস):- বাড়ির মধ্যেই বজ্রপাতে মৃত্যু সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীর,  আহত ছাত্রীর বাবা,  মর্মান্তিক ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবারে।প্রবল ঝড়বৃষ্টির মধ্যে বাবা ও এক সম্পর্কিত ভাই এর সঙ্গে খাটে শুয়েছিল কিশোরী। আচমকাই বজ্রপাতে মর্মান্তিক মৃত্যু হল সেই কিশোরীর। সোমবার রাতে বাঁকুড়ার সিমলাপাল থানার পচাপাথর গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার বয়স বারো বছর। ঘটনায় আহত হয়েছেন মৃতার বাবা প্রশান্ত গরাই। 

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে পেশায় ইঞ্জিন ভ্যান চালক প্রশান্ত গরাই নিজের পরিবার নিয়ে থাকতেন পচাপাথর গ্রামের বাড়ির অ্যাসবেস্টারের ছাউনী দেওয়া কাঁচা বাড়িতে। 

বারংবার পাকা বাড়ির জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। প্রতিশ্রুতিও মিলেছিল। কিন্তু আবাস যোজনার তালিকায় ঠাঁই পাননি প্রশান্ত গরাই। সোমবার রাতে প্রবল ঝড় বৃষ্টি শুরু হলে নিজের একচিলতে অ্যাসবেস্টারের বাড়িতেই এক ছেলে, এক মেয়ে, আত্মীয়ের এক সন্তান ও স্ত্রীকে  নিয়ে ছিলেন প্রশান্ত গরাই। বাড়ির বিছানায় মেয়ে ও আত্মীয়ের ছেলেকে নিয়ে শুয়েছিলেন তিনি। স্ত্রী ওই সময় রান্না করছিল। আচমকাই প্রবল বজ্রপাতের শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা বাড়ি। বাড়ির পাশে একটি গাছে বজ্রপাত হয়। গাছটি ফেটে চৌচির হয়ে যায়। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাড়িটি। ওই বজ্রপাতের ফলেই আহত হন বাবা ও মেয়ে। প্রাথমিক ঘোর কাটতেই দেখেন তাঁর পাশে শুয়ে থাকা মেয়ের শরীর  নিথর হয়ে গেছে। দ্রুত গাড়ি ডেকে মেয়েকে নিয়ে খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে হাজির হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতার বাবা সহ আত্মীয়দের দাবী পাকা বাড়ি থাকলে এভাবে মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারাতে হত না বছর বারোর একমাত্র মেয়েকে। এদিকে পুলিশ মঙ্গলবার সকালে খাতড়া মহকুমা হাসপাতাল থেকে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া মেডিকেলে পাঠায়। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে খাতড়া থানার পুলিশ।

নবীনতর পূর্বতন